রাজশাহীতে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ’ উদ্বেগ প্রকাশ , রামেক হাসপাতাল পরিচালকের

রাজশাহীতে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ’ উদ্বেগ প্রকাশ , রামেক হাসপাতাল পরিচালকের

রাজশাহীতে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ’ উদ্বেগ প্রকাশ , রামেক হাসপাতাল পরিচালকের
রাজশাহীতে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ’ উদ্বেগ প্রকাশ , রামেক হাসপাতাল পরিচালকের

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

তিনি বলেন, নতুন ভর্তি রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ উয়ে উঠেছে। শামীম ইয়াজদানী বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। তাই এখন রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ভাংছে। তবে এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি জানিয়ে, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই এই মহারারি মোকাবেলা সম্ভব বলে জানান তিনি।

সোমবার রামেক হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা ও সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং-এ এসব কথা জানান হাসপাতাল পরিচালক।

হাসপাতালের তথ্য বলছে, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। যাদের ৬ জনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর গত ২৪ ঘন্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ৩০৯ বেডের বিপরীতে মোট ভর্তি রোগী আছেন ৪০২ জন। হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৬২ রোগীর মধ্যে গ্রাম থেকে আসা ৩৬ জন আর শহরের ২৬ জন।

এছাড়া সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩০৯ বেডের বিপরীতে মোট ভর্তি রোগী আছেন ৪০২ জন। এরমধ্যে রাজশাহীতে ২৬৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭০ জন, নাটোরের ৩০ জন, নওগাঁর ২৯ জন, পাবনার ৫ জন, কুষ্টিয়ার ২ জন এবং চুয়াডাঙ্গার ২ জন রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন।

এদিকে, ধীরে ধীরে গ্রামে সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসন, আইশৃঙ্খলাবাহিনী, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবকসহ দায়িত্বরত সকলকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল পরিচালক আরো জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬ জন, নাটোরের ৩ জন এবং নওগাঁর ১ জন। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২১ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২১ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২১৬ জন।

এদিকে, সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। এরপরও রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। সেই সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় হাসপাতালের আরও একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করার কাজ চলছে। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এখন অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে বলে জানান শামীম ইয়াজদানী।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply